২৯ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হলে ভাঙার সম্ভাবনা বেশি?

২৯ ফেব্রুয়ারি৷ এমন দিন আসতে পারে চার বছরে মাত্র একবারই৷ বাড়তি পাওয়া একটা দিন চুটিয়ে উপভোগ করার পরামর্শ যেমন আছে, তেমনই কেউ কেউ বলে থাকেন, এটি নাকি ফাঁকি দিবস৷ তবে মারাত্মক কথা শোনাচ্ছেন একদল বিশেষজ্ঞ৷ তাঁদের মতে, এই দিনে বিয়ে হলে তা না টেকার সম্ভাবনা প্রবল৷

চলতি রীতি অনুযায়ী ছেলেরাই হাঁটু মুড়ে বসে মেয়েদের প্রপোজ করে৷ কিন্তু ব্যতিক্রমী দিনে সবই ব্যতিক্রম৷ তাই এদিন উলটোপুরাণ৷অর্থাৎ এ দিন ছেলেরা নয়, মেয়েরা ছেলেদের সামনে একই কায়দায় বসে প্রপোজ করে৷এটাই ২৯ ফেব্রুয়ারির নিয়ম৷

এ শুধু এ দিনের বতিক্রম নয়, চেনা পুরুষতন্ত্রের ছকেও ব্যতিক্রম৷ আর তাতেই ঘচে বিপত্তি৷ পল কোলরিজ নামে জনৈক প্রাক্তন বিচারপতির তৈরি করা ম্যারেজ ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে, পুরুষই প্রপোজ করার দীর্ঘকালীন প্রথা মানুষের সহজাত প্রবণতার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছে৷ তার ব্যতিক্রম হলেই গোলমাল বাধে৷ আসলে পুরুষরা যখন এই কায়দায় প্রপোজ করে তখন এক অধিকার বোধ জাগে৷

কোনও কেনা জিনিসের প্রতি ক্রেতার যে অধিকার বোধ, এ বোধ তারি সমতুল৷ কিন্তু উলটোটি যখন ঘচে, তখন পুরুষরা এই অনুভবে থাকে না৷ দেখা গিয়েছে একসঙ্গে থাকেন অথচ বিয়ে করেননি এরকম ৩২ শতাংশ মহিলা পুরুষের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাননি৷ একইরকম ক্ষেত্রে মহিলাদের সম্মতির জন্য অপেক্ষা কের অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা মাত্র ৭ শতাংশ৷ পুরো বিষয়টির মধ্যে পুরুষতন্ত্রের তীব্র প্রভাব থাকলেও, বাস্তব চিত্র এটাই৷ আর তাই এই ম্যারেজ ফাউন্ডেশনের সতর্কবার্তা যে, ২৯ ফেব্রুয়ারির বিয়ে না টেকার সম্ভাবনা বেশি৷ কেননা এদিন মহিলাদেরই প্রপোজ করতে হবে৷ এবং পুরুষের সম্মতি না পেয়ে মহিলাদের অববিবাহিত থেকে যাওয়ার হারও বেশি৷ তাছাড়া বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতি পুরুষের স্বাভিবিক অধিকারবোধও এক্ষেত্রে কাজ করে না৷ গতানুগতিক নিয়ম মানুষকে যে অভ্যাসের নিগড়ে বেঁধে ফেলে, তার ব্যতিক্রম হয় বলে ২৯ ফেব্রুয়ারির কপালে ঝুলছে বিয়ে ভাঙার খাঁড়া৷



মন্তব্য চালু নেই