২ মিলিয়ন কনটেইনার হ্যান্ডিলিংয়ের রেকর্ড সৃষ্টি

‘বন্দর চলছে দেশের সাথে, চলছি মোরা তারই সাথে’ এই স্লোগানকে ধারণ করে এক বছর আগেই দুই মিলিয়ন (২০ লাখ) কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। গত ২০ বছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ শতাংশ। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের তিন বছরে গড় প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশ এবং ৭ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং বৃদ্ধি পায়।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ দশমিক ৫৬ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার এবং ৪২ দশমিক ৪৭ লাখ মেট্রিকটন জেনারেল কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০ দশমিক ২৫ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার এবং ৫১ দশমিক ৩৮ লাখ মেট্রিক টন জেনারেল কার্গো হ্যান্ডেলিং করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে।

রোববার হোটেল সোনারগাঁও, (ব্যালকনি হল) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ঢাকা চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ২০ লাখ টিইইউ’জ অতিক্রমের সাফল্য বিষয়ক সনদ হস্তান্তর বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দীন আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা ৩০ হাজার টিইইউএস থেকে প্রায় ৪০ হাজার টিইইউএস এ উন্নতী করা হয়েছে। আগামী ২০৪৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং ডিমান্ড হবে ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন টিইইউএস।

এ সময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে বন্দরের ভূমিকা ছিল খুবই অগ্রণী। ৭১-এর ২৪ মার্চ ‘সোয়াত বিদ্রোহ’ এবং মুক্তিযুদ্ধকালে অপারেশন জ্যাকপট বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আর্কষণে সক্ষম হয়। এবং বিশ্বের কাছে পরিচিতি করে তুলে চট্টগ্রাম বন্দর।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হলে বন্দরের সব কর্মকর্ত-কর্মচারী শ্রমিক নেমে পড়ে আরেক যুদ্ধে। এগিয়ে চলা শুরু হয় দেশের স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরের। চট্টগ্রাম বন্দর সেই থেকে নিজ আয়ে পরিচালিত হতে সক্ষম হয়।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ এখন নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ। আজ চট্টগ্রাম বন্দর যে সফল্য দেখিয়েছে তা দেশের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ারই সুষ্পষ্ট ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে। আমরা কোনো অবস্থাতাইে এই স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারি না। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

এরপর মন্ত্রী সফল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানকে সাফল্য সনদ প্রদান করেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ, নৌ-পরিবহন সচিব অশোক মাধব রায় ও চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন।



মন্তব্য চালু নেই