২ শতাধিক পোশাক কারখানার সদস্যপদ বাতিল হচ্ছে

প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন (কমপ্লায়েন্স) পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রায় ২৩০টি পোশাক কারখানার সদস্যপদ স্থগিত করবে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।

যেসব কারখানা বিভিন্ন নিয়ম পালন করছে না, সেসব কারখানার মালিকদের দীর্ঘদিন ধরে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিপালনের তাগিদ দিয়ে আসছে বিজিএমইএ। কিন্তু তারা এ পর্যন্ত সুশাসন নিশ্চিত করতে পারেনি। এর মধ্যে শ্রমিকদের বিমা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয় জড়িত রয়েছে।

তবে এসব কারখানা যাতে কমপ্লায়েন্স পরিপালন করে বিজিএমইএ সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে পারে, সেজন্য আরো এক মাস অর্থাৎ মে সাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত তারা সময় পাবে। এ সময়ের মধ্যে যারা কমপ্লায়েন্স পরিপালন করতে পারবে তাদের সদস্যপদ বহাল রাখা হবে।

বিজিএমইএ সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পোশাক ‍কারখানায় সুশাসন পরিপালনের জন্য সবসময় বিজিএমইএ কাজ করে যাচ্ছে। যেসব কারখানায় কমপ্লায়েন্স পরিপালন করা হচ্ছে না তার একটি তালিকা করেছে বিজিএমইএ। তালিকা অনুযায়ী তাদেরকে বার বার তাগাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনেকে কমপ্লায়েন্স পরিপালন করতে পারেনি। তাদেরকে আবারও মে মাস পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে।’

‘যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা কমপ্লায়েন্স পরিপালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে মে মাসের শেষ দিকে বিজিএমইএ’র বোর্ড মিটিংয়ে ওইসব কোম্পানির বিরুদ্ধে সদস্যপদ বাতিলসহ সেবা বন্ধ করার সম্ভাবনা আছে’, বলেন তিনি।

গত শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে ডিজিটাল বায়োমেট্রিক ওয়ার্কার ডাটাবেজ বা তথ্যভাণ্ডারে অন্তর্ভুক্তির সময় শেষ হয়েছে। ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত অসংখ্যবার ডাটাবেজ করার সময় বাড়ানো হযেছে। তবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তথ্যভাণ্ডারের জন্য কারখানার নাম তালিকাভুক্ত না করলে ইউডি (ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন) বাতিল করাসহ অন্যান্য সার্ভিস বাধাগ্রস্ত করা হবে বলেও জানিয়েছিল বিজিএমইএ। আর এ বিষয়েও আগামী বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

যারা উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হয়নি তাদের অনেকেরই সদস্যপদ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ’র অন্য একটি সূত্র। আর সব মিলিয়ে প্রায় ২৫০টি পোশাক কারখানার সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।

উল্লেখ্য, এর আগে কমপ্লায়েন্সের শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ১ হাজার ৬৫৪টি কারখানার সদস্যপদ বাতিল করে বিজিএমইএ।



মন্তব্য চালু নেই