৩০ ঘণ্টা ইন্টারভিউয়ের পর চাকরি

চাকরির ইন্টারভিউয়ে নানা জনের নানা ধরনের ভালো বা মন্দ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। কিন্তু ৩০ ঘণ্টার ইন্টারভিউ দেওয়ার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আপনার হয়নি, যেমনটা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাউড ও ভার্চুয়ালাইজেশন সফটওয়্যার সেবা প্রতিষ্ঠান ভিএমওয়ারের সাবেক কর্মকর্তা থুয়ান পাম-এর বেলায়।

অনলাইন ট্যাক্সি-ক্যাব সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান উবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টার্ভিস কালানিক টানা ২ সপ্তাহ ধরে মোট ৩০ ঘণ্টার ইন্টারভিউ নিয়েছেন থুয়ান পাম-এর।

প্রথমে কালানিকের সঙ্গে থুয়ানের এক ঘণ্টার একটি মিটিং নির্ধারিত হয়। ইন্টারভিউর সময় সেটিকে বাড়িয়ে দুই ঘণ্টা করা হয়। এরপরের ঘটনা বিরল। স্কাইপেতে দুই সপ্তাহ ধরে নানা সময়ে চলে এই ইন্টারভিউ। সব মিলিয়ে ৩০ ঘণ্টা ইন্টারভিউ দিয়েছেন থুয়ান।

এই ইন্টারভিউ সম্পর্কে থুয়ান বলেন, এই ইন্টারভিউর ব্যাপারে আমার প্রথমে ধারণা ছিল সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগতে পারে। ভাবিনি এত দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারভিউ দিতে হবে।

তিনি বলেন, কালানিক তার সঙ্গে যেসব বিষয়ে কথা বলতে চান, তার একটা লিস্ট স্কাইপেতে পাঠিয়েছিলেন। এরপর কখনো ফোনো বা কখনো স্কাইপেতে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যে ছিল- কীভাবে যোগ্য কর্মীদের নিয়োগ দেয়া যাবে কিংবা কীভাবে কাউকে বরখাস্ত করা যাবে, ম্যানেজম্যান্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ নানা বিষয়।

থুয়ান বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে কালানিক উনার ধারণা বলেছেন এবং আমি আমার ধারণা। এভাবেই চলেছে ইন্টারভিউ। যা আসলে আমার কাছে অনেকটা আলোচনার মতোই মনে হয়েছে।

দীর্ঘ ইন্টারভিউ শেষে উবারের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন থুয়ান পাম। তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আগামী তিন বছরে উবারে ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা ১ হাজার ২০০ জনে উন্নীত করার। উবারে বর্তমানে ৪০ জন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই