৩০ বছরে যদি কেউ সরকারি চাকরি না পায় সেটা দুঃখজনক

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব আবারও নাকচ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে বলেছেন, ৩০ বছরেও যদি কেউ চাকরি না পায় সেটি দুঃখজনক।

বুধবার ( ২৭ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’পচাত্তর পরবর্তী সময়ে লেখাপড়া প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। বছরের পর বছর সেশনজট থাকতো, সময় মতো ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারতো না। চাকরির বয়স পার হয়ে যেতো।’

তিনি বলেন, ‘ওই সময় থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স কিন্তু ২৫ বছর, এরপর ২৬ করা হয়। সেখান থেকে ৪ বছর বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে। ৩০ বছর করার পরও যদি কেউ চাকরি না পায় তাহলে এটি দুঃখজনক। কারণ এখন সেশনজট নেই, ২২ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে মাস্টার্স শেষ হয়ে যায়।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যেহেতু এখন সেশনজট নেই। চার বছর বাড়ানো হয়েছে, আর কত বাড়াতে হবে? তাহলে কী তারা পৌঢ় বয়সে গিয়েও চাকরি নেবে? ২২ থেকে ২৩ বছরে যে মেধা ও কর্মক্ষমতা থাকে তা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। তাছাড়া যারা পারে তারা সব সময়ই পারে। যারা পারে না তারা কোনো সময়ই পারে না। কথায় তো আছে- যারা পারে না তারা ৯০ বছর বয়সেও পারে না। তাই আপাতত চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করছি না।’



মন্তব্য চালু নেই