৩০ বছর বয়সের আগেই যে ৬টি অভ্যাস থেকে আপনাকে মুক্তি পেতেই হবে

একটু ভেবে দেখলে দেখা যাবে, ৩০ বছর বয়সের আগেই কয়েকটি বদভ্যাস যদি আপনি ত্যাগ করতে পারেন, তাহলে আপনার পরবর্তী জীবন হয়ে উঠতে পারে আরও সুস্থ, আরও সুখের। কোন অভ্যাস সেগুলি? রইল, তেমন‌ই ৬টি অভ্যাসের হদিশ—

২০ থেকে ৩০ বছর— জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১০টি বছর। এই ১০টি বছর আপনি কীভাবে কাটাচ্ছেন, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করে আপনার ভবিষ্যৎ জীবন কেমন হবে। একটু ভেবে দেখলে দেখা যাবে, ৩০ বছর বয়সের আগেই কয়েকটি বদভ্যাস যদি আপনি ত্যাগ করতে পারেন, তাহলে আপনার পরবর্তী জীবন হয়ে উঠতে পারে আরও সুস্থ, আরও সুখের। কোন অভ্যাস সেগুলি? রইল, তেমন‌ই ৬টি অভ্যাসের হদিশ—

১. ধূমপান:
সিগারেট বা তামাক সেবনের অভ্যাস ছাড়ার অবশ্য নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। যত তাড়াতাড়ি এই বদ অভ্যাস থেকে মুক্তি পাবেন ততই ভাল। তবে সমীক্ষা জানাচ্ছে, যদি ৩০-এর আগেই ছেড়ে দেওয়া যায় সিগারেট, তাহলে তামাক সেবন জনিত রোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমে যায় ৯০ শতাংশ।

২. সব বিষয়ে অন্যদের মতামত নেওয়া:
কেউ কেউ থাকেন, যাঁরা কোনও কিছুতেই নিজে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সব ব্যাপারেই অন্যদের মতামত নেওয়া তাঁদের বদভ্যাস। কিন্তু এই অভ্যাসের ফলে কমে যায় তাঁদের আত্মবিশ্বাস। ভেবে দেখুন, একদিন এমন আসতেই পারে যখন এই পরামর্শদানকারী মানুষগুলোর সাহচর্য থেকে হয়তো আপনি বঞ্চিত হবেন। কী করবেন তখন? তার চেয়ে এখন থেকেই নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৩. টাকা-পয়সার প্রতি যত্নবান না হওয়া:
আপনি যতই ভাববাদী হন না কেন, জীবনে সুখের অন্যতম উৎস যে অর্থ— একথা স্বীকার না করে উপায় নেই। অল্প বয়সে যতদিন বাবা-মার তত্ত্বাবধানে জীবন কাটে ততদিন অর্থসঞ্চয়ের প্রকৃত প্রয়োজনীয়তা বোঝা যায় না। কিন্তু নিজে উপার্জন শুরু করার পরেও যদি আপনি অর্থসঞ্চয়ের দিকে মনোনিবেশ না করেন তাহলে আপনার বার্ধক্য কিন্তু কষ্টকর হয়ে ওঠার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই ৩০ বছর বয়সের আগেই শুরু করুন টাকা-পয়সা জমানো।

৪. নিজের প্রাপ্যটুকু বুঝে নিতে কুণ্ঠা বোধ করা:
চাকরির জায়গা হোক কিংবা পারিবারিক ও ব্যক্তিগত ক্ষেত্র— যেখানে নিজের যেটুকু প্রাপ্য, যেটা পাওয়া আপনার উচিৎ বলে মনে করছেন, তা চেয়ে নিতে দ্বিধা বোধ করবেন কেন। আপনি কাজ করছেন তো কোনও কিছু প্রতিদান পাবেন বলেই। পরিস্থিতি যদি দাবি করে, তবে চেয়েই আপনার প্রাপ্যটুকু আপনাকে আদায় করে নিতে হবে।

৫. প্রিয়জনের সঙ্গে যথেষ্ট সময় না কাটানো:
পরিবার-পরিজনের চেয়ে আপন আর কারাই বা আছেন! তাঁদের সঙ্গে যতটা পারুন সময় কাটান। ভেবে দেখুন, যাঁরা আপনার বয়োজ্যেষ্ঠ তাঁরা খুব সম্ভবত আপনার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পরে যাতে তাঁদের সঙ্গে যথেষ্ট সময় না কাটানোর জন্য আফশোস না হয়— সেজন্য এখন থেকেই যতটা পারা যায়, সময় কাটান তাঁদের সাহচর্যে।

৬. কোল্ড ড্রিংক খাওয়া বন্ধ না করা:
কোল্ড ড্রিংক খাওয়া কেন ক্ষতিকর, এতে মিশে থাকা কৃত্রিম উদ্দীপক কীভাবে ক্ষতি করে শরীরের— তা কি আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে? কাজেই চেষ্টা করুন, কোল্ড ড্রিংক খাওয়া যতটা সম্ভব কমিয়ে দেওয়ার।



মন্তব্য চালু নেই