৩৫০ লিটার বুকের দুধ নিজের স্তন থেকে দান করলেন এক নারী

আমেরিকায় মিলেছে এক অনন্য নারীর সন্ধান। নিজের মানবিকতাকে বিলিয়ে যে নারী এখন মানবিকবিশ্বের অনন্য নারীতে পরিণত হয়েছেন। এই মার্কিন রমণীর নাম অ্যামি অ্যান্ডারসন। নিজের বুকের ৩৫০ লিটার দুধ দান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি ।

অ্যান্ডারসন ২০১০ সালে পাঁচ মাসের একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। যার নাম দিয়েছিলেন ব্রাইসন। মৃত ব্রাইসনের জন্মের পর চিকিৎসক তাকে শরীরের গঠন ঠিক রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দেন। কিন্তু অ্যান্ডারসন তা মানার পরিবর্তে সিদ্ধান্ত নিলেন ব্রাইসনের ‍দুধ তিনি দান করে দিবেন। ইউরিনারি জটিলতায় মৃত ব্রাইসনের শোককে অন্যের জন্য আশীর্বাদে রূপান্তর করতে তিনি বুকের দুধ দান করে দেন।

ফিলি বয়েসকে অ্যান্ডারসন বলেন, ‘ব্রাইসনের জন্মের কয়েক দিনের মধ্যে আমার বুকে দুধ আসতে শুরু করে। আমি জানতাম এটা আমার জন্য কঠিন, কারণ ব্রেস্টফিডিং করতে দরকার কাছের কোনো শিশুর। আমার খুব ব্যাথা করছিল। তাই আমি পাম্পের মাধ্যমে ফিডিং করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এতে আমার শরীর কিছুটা ভাল লাগছিল।’

asdf

তিনি জানান, তার এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ব্রাইসনের স্মৃতির প্রতি সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে এবং খুব ভাল অনুভূতি হয়েছে তার।

গবেষণার বরাত দিয়ে অ্যান্ডারসন জানান, বুকের দুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ পুষ্টিজনিত সমস্যায় প্রতিবছর অনেক শিশুর অকাল মৃত্যু হয়। শিশু মৃত্যুর দিক দিয়ে এই সংখ্যাটা দ্বিতীয় অবস্থানে।

তিনি বলেন, ‘ব্রাইসন নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভূমিষ্ঠ হয়, তাই আমার বুকের দুধ খুব পুষ্টিকর ছিল। আমার দান করা দুধগুলি মিল্কব্যাংক আলাদা করে রেখেছিল এবং যেসব শিশুর খুব পুষ্টিকর ‍দুধ প্রয়োজন ছিল তাদের দেওয়া হয়েছে।’

আট মাসের বেশি সময়ে অ্যান্ডারসন ৩৪৮ লিটার দুধ পাম্প করেন। পরে সে দুধ আমেরিকা ও কানাডার চারটি মিল্ক ব্যাংকে দেন। আর ওই ‍দুধ ৩০ হাজারের বেশি শিশুকে পান করানো হয়।

অ্যান্ডারসন বলেন, ‘জীবনের মানে একই, সেখানে কোনো পার্থক্য নেই। আমি ব্রাইসনের জীবনের উদ্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সূত্র: ইয়াহু নিউজ



মন্তব্য চালু নেই