৩ কর্মচারীকে অব্যাহতি ৪ জনের ইনক্রিমেন্ট-পদোন্নতি বন্ধ

বেরোবি প্রতিনিধি : বেরোবি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিভিন্ন সময় উপাচার্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, ভর্তি পরীক্ষায় অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ, মসজিদের গম আত্মসাতের চেষ্টা, জনসংযোগ দফতরে হামলাসহ ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি ও চারজনকে পাঁচ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ১৬ আগস্ট গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন এবং ২ জুলাই অনুষ্ঠিত ৫০তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন কর্মচারীকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি এবং চারজনকে পাঁচ বছরের ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর স্বাক্ষরিত চিঠি গত ২৮ জুলাই বিভিন্ন দফতরে প্রেরণ করা হয়।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত কর্মচারীরা হলেন-উপাচার্য, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের সঙ্গে ঔদ্ধ্যত্বপূর্ণ আচরণ এবং কর্মকর্তাকে মারপিটের অভিযোগে নিরাপত্তা প্রহরী নুরুজ্জামান রুবেল, জনসংযোগ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে নিরাপত্তা প্রহরী শাহীন বেগ, মসজিদের গম আত্মসাতের অভিযোগে সহকারী স্টোর কিপার মো. হোসেন।

পাঁচ বছরের জন্য ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি বন্ধ সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অর্থবাণিজ্যের অভিযোগে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) আতিকুজ্জামান সুমন, জনসংযোগ কর্মকর্তাকে হুমকি ও চাঁদা দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ভাঙচুরের অভিযোগে রেজিস্ট্রার দফতরের সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) রাফিউল হাসান, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অর্থবাণিজ্যের অভিযোগে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সেমিনার সহকারী আবুল কালাম আজাদ এবং জনসংযোগ কর্মকর্তাকে হুমকি ও চাঁদা দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ ভাঙচুরের অভিযোগে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) শাহীন মিয়া। এছাড়াও চিঠিতে ভবিষ্যতে এদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার অভিযোগ উত্থাপিত হলে সিন্ডিকেট যেকোনো ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর বলেন, অভিযোগের প্রমাণের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপাচার্য মহোদয়ের অনুমোদনক্রমে প্রকাশ করা হয় চূড়ান্ত চিঠি।



মন্তব্য চালু নেই