৩ দিন মাছের পেটে ছিলেন এই মৎস্যজীবী! অতঃপর…

বিখ্যাত বাঙালী কথাসাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখার্জীর ‘কুম্ভীর বিভ্রাট’ গল্পে সাঁওতালি মহিলা কুমীরের পেটে যাওয়ার পর সেখানেও বেগুন বেচতো৷ স্পেনের এক অখ্যাত মৎস্যজীবী লুইগি মার্কেজের সঙ্গে কুম্ভীর বিভ্রাটের ওই সাঁওতালি মহিলার একটা অদ্ভুত মিল৷ সাঁওতালি মহিলা কুমীরের পেটে গিয়েছিলেন, লুইগি গিয়েছিলেন তিমির পেটে৷ তিমির পেটে গিয়ে তিন দিন পর তিমির পেট থেকে আবার বেরিয়েও এসেছেন৷ আর এই অভিনব ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপের দেশ স্পেনে৷

স্পেনের সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন লুইগি৷ সে দিনও করছিলেন৷ হ্ঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে লুইগির নৌকা৷ ঝড় থামলেও কোনও খোঁজ মেলেনি তার৷ এমন কী তার কোনও খোঁজ পায়নি কোস্টগার্ডরাও৷ হঠাৎই যেন মাটি ফুঁড়ে বের হন লুইগি৷ তারপর যা বলেন তা আরও চমকপ্রদ৷

লুইগির দাবি, তার নৌকা ঝড়ের কবলে পরার পর একটি তিমি আস্ত গিলে খায় তাকে৷ ঝড়ের সময় কী হয়েছিল তা কিছুতেই মনে পড়ছে না লুইগির৷ শুধু যখন জ্ঞান ফেরে তখন একটি হরহরে অন্ধকার জায়গায় নিজেকে দেখেন লুইগি৷ আলো বলতে একমাত্র হাতের ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ির আলো৷ সেই ঘড়ির মাধ্যমেই সময় মেলাতে থাকেন তিনি৷ ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় লুইগির৷ কী ভাবে বেঁচে ফিরবেন, আদৌ প্রিয়জনদের দেখা পাবেন কি না তা মনে করেই চোখ ভিজে আসে পানিতে৷

তবে মনোবল হারাননি লুইগি৷ সুযোগ খুঁজতে থাকেন আর নিজেকে আশ্বস্ত করতে থাকেন এই বলে যে করেই হোক তিমির পেট থেকে বেরতে হবে তাকে৷ চেষ্টা চালিয়ে যান, তার চেষ্টাতেই একদিন তিমিটি বমি করে বের করে দেয় লুইগিকে৷ মাঝসুমদ্র থেকে কোনও ক্রমে ফিরে আসেন লুইগি৷ তবে অসুবিধা একটাই তিন দিন তিমির পেটে কাটানোর ফলে গায়ে বোঁটকা গন্ধ৷ গায়ের ময়লা পরিষ্কার করতে করতেই আপাতত আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড় লুইগির৷



মন্তব্য চালু নেই