৩ সংখ্যালঘু পরিবার ৮ দিন ধরে অবরুদ্ধ ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

আসহাবুর ইসলাম শাওন, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) থেকে: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের পতনউষার গ্রামের ৩টি সংখ্যালঘু পরিবার ৮ দিন যাবৎ অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ২২ বছরের চলাচলকারী প্রবেশ পথটি পাশ্ববর্তী রুহেল মিয়া বন্ধ করে দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অসহায় ৩টি পরিবার বাড়ি থেকে বের হতে পাচ্ছেন না। তারা কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছন। পরিবারগুলো স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সরেজমিনে পরিদশর্নকালে সংখ্যালঘু বজিন্দ্র মালাকার, বিনতি মালাকার ও মনিন্দ্র মাল্কাার অভিযোগ করে বলেন, যুগ যুগ ধরে বাপদাদার এই গ্রামে বসবাস করছেন। বিগত ২০/২৫ বছর পুর্বে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পতির মধ্যে ১৫শতক জায়গা একই গ্রামের মরহুম কনা মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। বিক্রিত জমির দলিলে যাতায়াতের জন্য ৬ফুট রাস্তা দলিলে উল্লেখ্য রেখে জমি বিক্রি করেন। জমি বিক্রির প্রায় ২০ বছর ধরে পরিবার ৩টি এই রাস্তা ব্যবহার করছিলেন। হঠাৎ করে গত ২২ ফেরুয়ারী ওই জমির মালিক মৃত কনা মিযার ছেলে রুহেল মিয়া যাতায়াতকারী রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন। রাস্তাটি বন্ধ করে রাখায় সংখ্যালঘু ৩টি পরিবার এর লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে পারচ্ছেন না। অন্য মালিকরা তাদের রাস্তা বা বাড়ি উঠান ব্যবহার করতে দেন না। এমতাবস্থায় তারা মুলত অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। হাটবাজারে যাওয়ার সময় আকুতি মিনতি করে অন্যের উঠান দিয়ে যাতায়াত করেন। পরিবারের মহিলা সদস্যরা ঘর হতে বাহির হতে পারচ্ছেন না। বাড়ির প্রবেশ মুখ বন্ধ রাখার বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। নিরুপায় হয়ে গত ২২ ফেরুয়ারী কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে প্রতিকার চেয়ে অবরুদ্ধ ৩টি পরিবার একটি আবেদন দাখিল করেছেন।

এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, রুয়েল মিয়া তার বসত বাড়িতে যে ইটের দেয়াল দিয়েছে তা ৬ফুট রাস্তা রেখে দিয়েছেন। সংখ্যালঘু পরিবারগুলো যাতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারে সেজন্য প্রবেশ মুখে বাশেঁর বেড়া ও সুপারি গাছের পাতা দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন।

অবরুদ্ধ পরিবারের একজন মিনতি রানী শব্দকর কেদেঁ বলেন, আমরা বাড়ি হতে বের হতে পাচ্ছি না। তিনি বলেন আমাদের নিজস্ব পুকুর নেই। অন্যের পুকুরে গোসল সারতে হয়। কিন্তু রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় কয়েকদিন ধরে গোসল করতে পাচ্ছি না।

এব্যাপারে অভিযুক্ত রুয়েল মিয়া (মোবাইল ০১৭৪২০২৮৭১৫) যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নারায়ন মল্লিক সাগির বলেন, বিষয়টি জানি, তবে রুয়েল মিয়া আলোচনায় বসতে রাজি নন। তাই বিষয়টি প্রশাসন হস্তক্ষেপ করলে সমাধানে আসতে পারে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সফিকুল ইসলাম বলেন, বিষযটি তদন্ত্রক্রমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই