৪৩ কুমির চুরির হোতা ধরতে আরো এক তদন্ত কমিটি

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজলে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ৪৩টি কুমিরের বাচ্চা পাচারের ঘটনায় বন বিভাগ তিন সদস্যের আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এদিকে শুক্রবার সকালে দাকোপ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং কুমির পাচার হওয়ার বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে চুরি বা পাচারের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মেহেদীজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ও করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান।

অন্যদিকে প্রজনন কেন্দ্রের ভেতর থেকে ছয়টি মৃত কুমিরের বাচ্চা ও তিনটি কুমিরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পাচার হওয়া অবশিষ্ট কুমিরগুলো উদ্ধার করা যায়নি।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, বরখাস্তকৃত লস্কর মাহাবুব আলম ও অস্থায়ী কর্মচারী জাকির দুজনই বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার করতে ষড়যন্ত্র করে প্রথমে ৩৪টি কুমিরের বাচ্চা পাচার করে। পরে বিষয়টি নজরে আসার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বিষয়টি অন্য খাতে নিতে পরের দিন রাতে কয়েকটি কুমিরের বাচ্চা মেরে ফেলে।

এ ঘটনায় করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান দাকোপ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহেদীজ্জামান বলেন, শুক্রবার থেকে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। তদন্ত শেষে আগামী রোববার প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এ ছাড়া নাশকতার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই