৪ ঘণ্টা কোথায় ছিলেন তনু ?

দীপক চৌধুরী : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে একটি গোয়েন্দা দল। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু যে প্রশ্নটি এখন সামনে তা হচ্ছে ঘটনার রাতে সাড়ে চার ঘণ্টা কোথায় ছিলেন তনু? এ প্রশ্নের জবাব বের করার চেষ্টা গোয়েন্দাদের। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর এটি।

২০ মার্চ খুন হওয়ার আগে সেনানিবাসের ভেতর দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান তিনি। বিকাল সাড়ে চারটায় তনু বাসা থেকে বের হয়ে একজন সেনা সদস্যের বাচ্চা ও সাজের্ন্টের বাচ্চাকে পাঠদান করেন। রাত সাড়ে সাতটার পর তনুর অবস্থান কোথায় ছিল তা জানার চেষ্টা করেছেন গোয়েন্দারা। অবশ্য কয়েকটি প্রশ্নের জবাব এখন তাদের হাতে। সময়-সুযোগে তা ব্যবহার হবে বলে ওই গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।

চাঞ্চল্যকর তনু হত্যামামলার তদন্ত পুরোদমে তৎপরতা শুরু করেছে সিআইডির তদন্ত দলও। এর আগে পুলিশ ও ডিবির যে কর্মকর্তারা মামলাটির তদন্ত করেছিলেন তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তদন্তের তথ্য নিয়েছে সিআইডি। শনিবার সিআইডির তদন্ত দল তনুর বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যও গ্রহণ করেছে।

একটি সূত্র জানায়, ধর্ষকদের পরিচয়, পেশা ও বয়স সম্পর্কে প্রাপ্ততথ্যের ব্যাপারে এখনই কোনো বক্তব্য দিতে না চাইলেও তারা প্রাথমিক কিছু অগ্রগতি জানাবে কয়েকদিনের মধ্যে।

অপর একটি তদন্ত সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কাজ করছে সিআইডি। তা হচ্ছে তনুকে কোথায় হত্যা করা হয়েছে এবং কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিম সাংবাদিকদের বলেছেন, এ দুটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর মিলে গেলে খুনির পরিচয় নিশ্চিত করার কাজটিও সহজ হবে। তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেক তথ্য এসেছে সিআইডির কাছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

তনুর পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য গ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান বলেন, তনুকে প্রকৃতপক্ষে কোথায় হত্যা করা হয়েছে তা নির্ধারণ করা খুবই জরুরি। এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার একটি অংশ হিসেবেই তনুর পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। তথ্যগুলো সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সোহাগী জাহান তনু গত ২০ মার্চ খুন হওয়ার পর থেকে প্রতিবাদের ঝড় বইছে সারাদেশে। আদালতের নির্দেশে লাশ পুনরায় তুলে ময়নাতদন্ত হয়েছে।

সিআইডি সূত্র জানায়, সিআইডি ঢাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দের নেতৃত্বে দলটি সেনানিবাস এলাকার তনু মরদেহ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। আবদুল কাহ্হার আখন্দ বিকালে কুমিল্লায় সাংবাদিকদের জানান, তথ্যের প্রয়োজনে আমরা তনুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে আরও কথা বলব। আমরা কাজ করছি। এখনও মন্তব্য করার সময় আসেনি। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম #সূত্র: আমাদেরঅর্থনীতি



মন্তব্য চালু নেই