৫টি লক্ষণ বলছে আপনি একজন হাইপোকন্ড্রিয়াক

প্রতিটি মানুষের জীবনেই দুঃখ আছে, কষ্ট আছে। সেগুলোকে সাথে নিয়েই আমরা হাসি, ভাল থাকি, অন্যকেও ভাল রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু এই ছোট-বড় কষ্ট, ব্যথা যদি আপনাকে সারাক্ষণ প্যানিক করতে শুরু করে তাহলে বুঝতে হবে আপনি একজন সুস্থ মানুষ নন। বরং একজন স্নায়ুবিক রোগী! স্নায়ুবিক রোগের নানান লক্ষণ আছে যেগুলো খুবই অদ্ভুত কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা সেসব আচরণে অভ্যস্ত হয়ে যাই। কিন্তু আপনি যদি প্যানিক হতে হতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে আপনার সচেতন হওয়া প্রয়োজন এখুনি।

হাইপোকন্ড্রিয়া বা স্নায়ুবিক রোগ এক ধরনের ইলনেস এনজাইটি ডিসঅর্ডার। এই রোগীরা সামান্য বিষয়ে এত বেশী চিন্তিত হয়ে পড়েন যে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এটা শুধু সামান্য দুশ্চিন্তা করার সমস্যা নয়। এটা উদ্বিগ্নতার এমন প্রভাবশালী একটি ধরণ যা শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং আপনাকে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে বাধ্য করে।

জেনে নিন স্নায়ুবিক রোগের লক্ষণগুলো-

আপনি সবসময় চিন্তিত থাকেন যে আপনি অসুস্থ্ হয়ে যাবেন
আপনার বন্ধুর জ্বর। আপনার মনে হতে শুরু করল আপনারও জ্বর হবে। এভাবে আপনি সারাক্ষণই অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয়ে থাকেন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টায় অদ্ভুত সব কান্ড করে বসেন। আপনি অসুস্থ কাউকে দেখতে যাওয়া, সাহায্য করা সবই এড়িয়ে চলতে চান। কাউকে সাহায্য করলেও মনে মনে আশা করেন সে যেন সাহায্য না নেয়!

অল্প অসুস্থতায় আপনার মনে হয় বড় কোন অসুখ হবে
সামান্য জ্বর থেকে আপনার মনে হতে থাকে নিশ্চয়ই বড় কোন সমস্যা হবে। বড় কোন রোগ লুকিয়ে আছে আপনার শরীরে ভেবে আপনি ঘাবড়ে যান। ডাক্তার দেখান, টেস্ট করান। ইলনেস ডিসঅর্ডারের কারণে আপনার মনে হতে থাকে আপনার সামনে অনেক বড় বিপদ। হয়ত সামান্য হাত কেটেছে, কিন্তু আপনি সেটা নিয়ে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ক্ষতির কথা ভেবে বসে থাকেন।

আপনি সারাক্ষণই রোগের লক্ষণ গুগলে খোজেন
আপনার একটু শরীর খারাপ হলেই আপনি সেটা সম্পর্কে বাজে কিছু ধারণা করে নেন। আপনি মনে করেন এটা বড় কোন রোগের লক্ষণ। আপনি গুগলে সেই রোগের কি কি লক্ষণ তা খুঁজতে থাকেন। আপনি যেহেতু নানান রকম রোগের সম্ভাবনা দেখেন তাই আপনি অনেকগুলো রোগের লক্ষণ দেখতে থাকেন আর নিজের শারীরিক অবস্থা মিলিয়ে উদ্বিগ্ন হতে থাকেন।

ডাক্তার ‘কোন সমস্যা নেই’ আপনি বিশ্বাস করেন না
আপনার হয়ত সব রিপোর্ট ঠিক এসেছে। কোথাও কোন সমস্যা পাওয়া যায় নি। কিন্তু আপনি সেটা বিশ্বাস করেন না। আপনার মনে হয় টেস্টে ভুল রিপোর্ট এসেছে। আপনি পুনরায় টেস্ট করান অথবা ডাক্তার বদলে ফেলেন অথবা বাইরে চলে যান ডাক্তার দেখাতে। এ ধরনের রোগীরা আসলে কখনোই সুস্থবোধ করেন না। আর মানসিকভাবে সারাক্ষণ অসুস্থবোধ করতে থাকে তাকে প্রকৃতই বিছানায় ফেলে দেয়।

আপনি সবসময় আরও মতামত নিতে চান
যেহেতু আপনি আপনার ডাক্তারকে বিশ্বাস করেন না তাই আপনি সবসময়য় আরও যাচাই করতে চান। আরও মতামত নিতে চান। একটা রোগের জন্য আপনি কখনই একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে ক্ষান্ত দেন না। অসুখ যত ছোটই হোক আপনি কয়েকজনকে দেখিয়ে ফেলেন।

আপনার যদি এরকম সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের স্মরণাপন্ন হন। আমাদের মনের জোর অসুস্থতায়ও আমাদের শক্তি দেয়। আর সেই মন দূর্বল হলে সুস্থ মানুষকেও ফেলতে পারে বিছানায়।



মন্তব্য চালু নেই