৫২ বছর পর অস্ত্রবিরতিতে ফার্ক বিদ্রোহীরা

কলম্বিয়ার প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফার্কের সকল যোদ্ধাকে স্থানীয় সময় রবিবার মধ্যরাত থেকে অস্ত্রবিরতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতার অবসান ঘটলো বলে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।

অস্ত্রবিরতির মূল চুক্তি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সাক্ষরিত হবে।ফার্ক নেতা রদ্রিগো লন্ডনো ব্রিদোহীদের অস্ত্রবিরতির আদেশ দেন। তিনি বলেন, ফার্কের সকল কমান্ডার, প্রত্যেক ইউনিটের যোদ্ধাদের আমি অস্ত্র ফেলে দেয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। একই সঙ্গে আজ মধ্যরাত থেকে কলম্বিয়া সরকারের প্রতি কোন ধরনের বিদ্বোষ দেখানো থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানালাম।’

কিউবার মধ্যস্থতায় প্রায় চার বছর ধরে শান্তি আলোচনা চলার পর গত বুধবার হাভানায় এই শান্তি চুক্তির যৌথ ঘোষণা আসে। এই কাঙ্ক্ষিত চুক্তি ঘোষণার পর শত শত মানুষ কলম্বিয়ার রাস্তায় নেমে এসে উল্লাস করেছে। তারা এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী ফার্ক সশস্ত্র বিদ্রোহের পথ ত্যাগ করে কলম্বিয়ার নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবে। কলম্বিয়া সরকার বিদ্রোহীদের পুনর্বাসনের জন্য উদ্যোগ নেবে।

চলতি বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি ফার্ক নেতারা ওই শান্তি চুক্তি নিয়ে বৈঠক করবেন। এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ১৩ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর ফার্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা কলম্বিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে।

চলতি বছর ২ অক্টোবর শান্তি চুক্তি সমর্থনের ব্যাপারে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জোয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস এ শান্তি চুক্তিকে “ভোগান্তি, বেদনা আর ট্র্যাজেডি” যুদ্ধের সমাপ্তি হলো বলে বর্ণনা করেছেন। সরকার ও ফার্ক গেরিলা উভয়পক্ষই জানিয়েছে, যুদ্ধ সমাপ্ত হয়েছে।

কলম্বিয়া সরকার ও বামপন্থী গেরিলা বাহিনী রেভলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়ার (ফার্ক) মধ্যে অর্ধ শতক ধরে চলা এই সংঘাতে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।ঘর-বাড়ি হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ।

এই চুক্তি অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে ফার্ক অস্ত্র সমর্পণ করে বেসামরিক জীবনে ফিরে যাবে। উল্লেখ্য, গত জুনে দুই পক্ষ দ্বিপক্ষীয় অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে সই করে, যা চুড়ান্ত সমঝোতার পথ তৈরি করে।



মন্তব্য চালু নেই