৫৬ আসন বদলে দেবে পশ্চিমবঙ্গের ভাগ্য

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৫৬টি আসনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। আজকের ৫৬টি আসনের নির্বাচন গত দুই পর্বের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলছে বিশ্লেষকরা।

৫৬টি আসনের মধ্যে আজ ভোট হচ্ছে দাজিলিংয়ের ৬টি আসন; জলপাইগুড়ির ৭টি আসন; আলিপুরদুয়ারের ৫টি আসন; উত্তর দিনাজপুরের ৯টি আসন; দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬টি আসন; মালদহের ১২টি আসন; বীরভূমের ১১টি আসনে।

২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বিধানসভার নিরিখে ফলাফলে দেখা যায়- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তরদিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদায় বাম-কংগ্রেসের যৌথ ভোট চিন্তার কারণ হতে পারে শাসকদল তৃণমূলের। যেমন, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার মিলে ১২টি বিধানসভা আসনের লোকসভায় তৃণমূলের ভোট সাত লাখ ২৪ হাজার, শতাংশের নিরিখে ৩৩.৬৪ শতাংশ। সেখানে বামেদের ভোট ছয় লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ ও কংগ্রেসের ভোট এক লাখ ৮৮ হাজার ১২০। শতাংশের নিরিখে যথাক্রমে, ৩০.০৯ ও ৮.৭৪ শতাংশ। অর্থাৎ বাম-কংগ্রেস যৌথ ভোট আট লাখ ৩৫ হাজার ৬২০। শতাংশের নিরিখে ৩৮.৮৩ শতাংশ। তৃণমূলের চেয়ে অনেকটাই বেশি। বিজেপি-র ভোট ছিল পাঁচ লাখ ৩২০, অর্থাৎ ২৩.০৫ শতাংশ।

অপরদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের ৬টি বিধানসভা আসনে লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভোট ছিল তিন লাখ ৩৯ হাজার ৯১৮, শতাংশের হিসেবে ৩৭.৮৭। বামেদের ভোট ছিল দুই লাখ ৬২ হাজার বা ২৯.১৯ শতাংশ। কংগ্রেসের ভোট ছিল ৬২ হাজার ৯৭৫, শতাংশের হিসেবে ৭.০২। সেক্ষেত্রে বাম-কংগ্রেস জোটের মোট ভোট দাঁড়াচ্ছে, তিন লাখ ২৪ হাজার ৯৭০, শতাংশের হিসেবে ৩৬.২১। শাসকদলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে।

একই ভাবে উত্তর দিনাজপুরে ৯টি বিধানসভা আসনে তৃণমূলের ভোট ছিল তিন লাখ ১১ হাজার ৩০০টি বা ২২.১৫ শতাংশ। বামেদের ভোট ছিল চার লাখ পাঁচ হাজার ১৩১। কংগ্রেসের তিন লাখ ৫৮ হাজার ৯১০। জোটের ভোট সাত লাখ ৬৪ হাজার ৪০। বিজেপির ভোট ছিল দুই লাখ ৫০ হাজার ৬০০টি, শতাংশের হিসেবে ১৭.৮৩।

মালদহে ১২টি বিধানসভা আসনের লোকসভায় ভোট ছিল, তৃণমূলের তিন লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০টি। বামেদের ছিল চার লাখ ৩৯ হাজার ৪৪২ ও কংগ্রেসের ছিল ছয় লাখ ৫৯ হাজার ৩৯০টি ভোট। জোটের ভোট ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩২। বিজেপি-র ছিল তিন লাখ ৬৩ হাজার ভোট।

লোকসভা ভোটের মোদী হাওয়া এখন নেই। ফলে বিজেপি-র দুর্বল সংগঠনের প্রভাব এই অংশে পড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আপাত দৃষ্টিতে আজকের ৫৬ আসনই মুখরক্ষা করতে পারে বিরোধীদের। ঠিক হয়ে যাবে কারা আসছে বাংলার মসনদে।

গত দুটি পর্বে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৮০ শতাংশের বেশি। চূড়ান্ত ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে ১৯ মে পর্যন্ত।



মন্তব্য চালু নেই