জয়কে অপহরণ মামলা : ৫ দিনের রিমান্ডে মাহমুদুর রহমান

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের মামলায় রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি শেষে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ এপ্রিল একই আদালতে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাসান আরাফাত।

ওই দিন আদালত এ মামলায় মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে তার রিমান্ড শুনানির জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

মাহমুদুর রহমানের পক্ষে রিমান্ড শুনানি করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও মহসিন মিয়া। রিমান্ড শুনানিতে তারা উল্লেখ করেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলায় এবং রাজনৈতিক ভাবে হেয় করতে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তারা অসুস্থ মাহমুদুর রহমানের রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন।

অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, এ মামলায় তার সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং অন্য কেউ এ মামলায় জড়িত আছে কিনা তা উদঘাটনের লক্ষ্যে আসামির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন এবং একই সঙ্গে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ রিমান্ড শেষ করে তামিল প্রতিবেদন দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

এ মামলায় দুই দফায় পাঁচদিন করে রিমান্ডে রয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক এবং টিভি উপস্থাপক শফিক রেহমান।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জাসাসের সহ-সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন এবং দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। প্রাপ্ত তথ্যসমূহ পর্যালোচনা করে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবননাশসহ যে কোনো ধরনের ক্ষতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপির হাই কমান্ড দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অর্থায়ন করছে।

২০১৫ সালের ৪ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান এ বিষয়ে পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়।

২০১৫ সালে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকে ঘুষ দেওয়ার কারণে মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারকে ৪২ মাসের কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত। বাংলাদেশি এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত তথ্য পেতে ২০১১ সালে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিককে এ ঘুষ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশি ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম মার্কিন আদালতের নথিপত্রে উহ্য রাখা হলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ই সেই ব্যক্তি বলে আওয়ামী লীগের পক্ষে দাবি করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই