৬০টি দেশের ৫০০ ব্যাংকে নিরাপত্তা সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশি সফটওয়্যার

নিরাপত্তাজনিত ত্রুটির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হলেও এ দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান কনা সফটওয়্যার ল্যাব লিমিটেড বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ব্যাংকে তথ্যপ্রযুক্তি তথা সাইবার নিরাপত্তা সেবা দিচ্ছে। দেশীয় হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংক কনা সফটওয়্যার ল্যাব লিমিটেড থেকে সেবা নিলেও বেশিরভাগ ব্যাংকই বিদেশি সেবা (সফটওয়্যার,সলিউশন্স ও পরামর্শ) নির্ভর।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএনএম খালেকদাদ খান বললেন, আমাদের স্মার্ট কার্ড ই্এমভি প্ল্যাটফর্ম চিপ বা সিম যুক্ত। এই প্ল্যাটফর্মটি অনেক বেশি নিরাপদ। বিশ্বের বিখ্যাত অনেক ব্যাংক আমাদের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। দেশীয় দুই একটি ব্যাংক সম্প্রতি আমাদের সেবা ও প্রযুক্তিকে নিরাপদ ভাবতে শুরু করেছে।

তিনি জানালেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো,  ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরাকসহ ৬০টি দেশের ৫০০টি ব্যাংক কনা সফটওয়্যার ল্যাব লিমিটেডের সেবা নিচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে সিটি ব্যাংক এনএ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক,এমিরেটস এনবিডি,ন্যাশনাল ব্যাংক অব মিসর,বার্কলেস ব্যাংক, ব্যাংক অব মস্কো,ন্যাশনাল ব্যাংক অব আবুধাবি, আরব ব্যাংক,হানা ব্যাংক,সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া,স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া।

সম্প্রতি এএনএম খালেকদাদ খান সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা,ব্যাংক ও আর্থিক খাত সাইবার জগতে সুরক্ষিত রাখার উপায়,প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। কথা বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ও এটিএম কার্ড জালিয়াতি নিয়েও।

প্রশ্ন: হঠাৎ করে দেশের ব্যাংকিং খাতে নিরাপত্তা (সাইবার নিরাপত্তা) সংকট দেখা দিল কেন?

এএনএম খালেকদাদ খান: আমি বলব নিরাপত্তা সংকট হঠাৎ করে নয়। এটা আগেও ছিল। নির্দিষ্ট করে যদি বলি তাহলে বলা যায় ২-৩ বছর থেকে এ ধরনের সমস্যা শুরু হতে করেছে। সুবিধা ছিল যেটা তা হলো,এই যে নিরাপত্তা ত্রুটি তা ৩-৪ বছর ধরে এক্সিস্ট করছিল, কিন্তু কেউ জানত না। এই সময়ে যারা হ্যাকার তারাও কিন্তু অ্যাডভান্স হয়েছে। ফলে এখন বিষয়টি এক্সপোজড। যারা এসব হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত তারা এরই মধ্যে এসব ত্রুটি জেনে ফেলেছে। সিম্টেমে যেসব ত্রুটি রয়েছে তারা সেসব ত্রুটি ব্যবহার করে সিস্টেম হ্যাকের মতো কাজ করছে। বাংলা ট্রিবিউন



মন্তব্য চালু নেই