৬৬ দিন পর নয়াপল্টনে রিজভী

কারামুক্তির পর নয়াপল্টন কার্যালয়ে এসেছেন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রায় ৬৬ দিন পর নয়াপল্টনে আসেন তিনি। এ সময় তার অনুসারীরা তাকে স্বাগত জানান।

এর আগে, গত ১৮ আগস্ট নাশকতার পাঁচ মামলায় আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীদের মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

গত ২৫ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুহুল আমীন রাজধানীর পল্লবী থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

২৫ জুলাই পল্লবী থানার একটি মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর থেকেই তাকে গ্রেফতারে আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর হয়ে ওঠে। বিষয়টি টের পেয়ে সতর্কভাবে চলাফেরা করেন রিজভী।

গত ২৯ জুলাই গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী।

গুলশানে রিজভীর অবস্থান জানতে পেরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে অবস্থান নেয়। এরপর কার্যালয় থেকে আর বের হননি তিনি।

৩০ জুলাই রাতে গুলশান কার্যালয়ে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন রিজভী আহমেদ। এভাবে অবরুদ্ধ না থেকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। তার এমন নির্দেশনার পর আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন তিনি।

আইনজীবীদের পরামর্শেই ৩১ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন রিজভী আহমেদ। ওইদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে গুলশান কার্যালয় থেকে বেরিয়েও যান তিনি।

তবে ওইদিন আদালতে না গিয়ে ১৮ আগস্ট আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পন করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ১৯ অক্টোবর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান রিজভী।



মন্তব্য চালু নেই