৭৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় বিপর্যয়

মর্যাদার অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৩৬ সালে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এ যাবত কাল পর্যন্ত ওটাই তাদের সবচেয়ে কম রানে ৫ উইকেট হারানোর রেকর্ড। তবে বৃহস্পতিবার চলতি অ্যাসেজে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল অসিরা। দলীয় মাত্র ২১ রানেই ৫টি মূল্যাবান উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যা অ্যাশেজে গত ৭৫ বছরে এই পরিস্থিতিতে তাদের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।

চলতি অ্যশেজ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তাই চতুর্থ টেস্টে জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে ইংলিশরা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ট্রেন্ট ব্রিজে চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন শুরু করে দলটি।

চতুর্থ টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক। অন্যদিকে সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই; এমন মন্ত্রে উজ্জীবীত হয়েই ব্যাট করতে নামে মাইকেল ক্লাকের অস্ট্রেলিয়া।

শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝড়ের কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ার উপর আঘাত হেনে বসে ইংল্যান্ডের বোলাররা। ফলে দলীয় মাত্র ৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরতে হয় অসি ওপেনার ক্রিস রজার্সকে। এরপর স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে রুটের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন স্মিথও।

শুরুর এই বিপর্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া ব্যাটসম্যানরা। ফলে ব্রড তান্ডবের শিকার হয়ে দলীয় মাত্র ১৫ রানের সময় আউট হন শন মার্শও। বাকি সময়েও ব্রডের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ। ফলে দলীয় মাত্র ৩৩ রানের সময় ৭টি মূল্যাবান উইকেট হারিয়ে বসে তারা।

ইংলিশ বোলারদের এই তান্ডব চলতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ফলে দলীয় মাত্র ৬০ রানেই (১৮.৩ ওভারে) গুটিয়ে যায় অসিদের প্রথম দিনের প্রথম ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে আগুনে বোলিংয়ে একাই ৮ উইকেট লাভ করেন স্টুয়ার্ট ব্রড। বাকি একটি করে উইকেট পান স্টিভেন ফিন ও মার্ক উড।



মন্তব্য চালু নেই