৭ কোটি রুপির যজ্ঞানুষ্ঠান আগুনে ভস্মীভূত

তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও রাজ্যের মেদাক জেলায় পাঁচদিনের যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। আজ রোববার ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এর আগেই দুপুর দেড়টায় যজ্ঞের আগুনে পুরো অনুষ্ঠান বানচাল হয়ে যায়। ভস্মীভূত হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর সাত কোটি রুপির এ যজ্ঞানুষ্ঠান।

ইতিমধ্যে ফায়ার ব্রিগেডের চারটি দল আগুন নেভানোর কাজ করছে। আগুন যজ্ঞের পুরো প্যান্ডেলে ছড়িয়ে পড়লেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। অনুষ্ঠানে আগত সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তেলেঙ্গানার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) জানান, ঘটনার পরপরই প্রেসিডেন্ট তার সফর বাতিল করেছেন।

আগুন লাগার ঘটনা শোনার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও, তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা এবং রাজ্যের গভর্নর ইএসএল নারাসিমহানসহ গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা আইনজীবী কবিতা কলবকুন্তলা এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘আয়ুধা চাঁদি মহাযজ্ঞানুষ্ঠান এলাকার সব কিছু বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। লোকজন নিরাপদে রয়েছেন। কয়েক হাজার লোককে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

হাদ্রাবাদ থেকে আলাদা হয়ে তেলেঙ্গানা রাজ্যের জন্ম উপলক্ষে আজ রোববার থেকে রাজ্যের শান্তি ও সমৃদ্ধ কামনায় পাঁচদিনব্যাপী এই মহাযজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। রাজধানী হায়দ্রাবাদ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে মেদাক জেলার ইরাবেলি গ্রামে মুখ্যমন্ত্র কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মালিকানাধীন খামার বাড়িতে এই যজ্ঞানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাঁচদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে খরচ ধরা হয়েছে সাত কোটি রুপি। মুখ্যমন্ত্রী নিজেসহ কিছু ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই এতে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।

এরই মধ্যে অন্ষ্ঠুানস্থলে বিভিন্ন রাজ্যের কমপক্ষে দেড় হাজার গুরুত্বপূর্ণ অতিথি উপস্থি ছিলেন। সকালেই চলে এসেছিলেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। পঞ্চাশ হাজার অতিথির খাবারের জন্য ১৫০ জন বার্বুচি রান্নার আয়োজন করছিল। তবে কী কারণে হঠাৎ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ল সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি অনলাইন।



মন্তব্য চালু নেই