৭ দিনের সাঁড়াশি অভিযানে ১৯৪ জঙ্গি গ্রেপ্তার

দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযানের শেষ দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ পর্যন্ত ১৯৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।

শুক্রবার (১৭ জুন) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান ‍এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর মধ্যে ৯ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি), ৭ জন হিজবুত তাহরির এবং একজন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের (এবিটি) সদস্য।

ঢাকা রেঞ্জের মাদারীপুর জেলা থেকে ১ জন হিজবুত তাহরির, চট্টগ্রাম রেঞ্জের চট্টগ্রাম জেলা থেকে ২ জন জেএমবি ও ১ জন হিজবুত তাহরির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ১ জন জেএমবি, রাজশাহী রেঞ্জের নওগাঁ জেলা থেকে ২ জন জেএমবি, খুলনা রেঞ্জের সাতক্ষীরা জেলা থেকে ১ জন জেএমবি, রংপুর রেঞ্জের রংপুর জেলা থেকে ১ জন জেএমবি, গাইবান্ধা জেলা থেকে ১ জন জেএমবি, ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ১ জন জেএমবি, পঞ্চগড় জেলা থেকে ১ জন জেএমবি এবং রাজধানী ঢাকা থেকে ১ জন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও ৪ জন হিজবুত তাহরির সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ১টি পাইপগান, ১টি শাটারগান, ১ রাউন্ড গুলি, ২টি ককটেল, ১টি রামদা, ১টি চাপাতি ও ১৪টি উগ্রপন্থি বই উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সাত দিনের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের মোট ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে ১৫১ জন জেএমবি, ৭ জন জেএমজেবি, ২১ জন হিজবুত তাহরির, ৬ জন আনসারুল্লাহ বাংলাটিম, ৩ জন আনসার আল ইসলাম, ৪ জন আল্লার দল, ১ জন হরকাতুল জিহাদ এবং ১ জন আফগানফেরত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।

গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

মিতু হত্যার তিন দিন পরই তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও জঙ্গি ধরতে বিশেষ অভিযানের ঘোষণা দেয় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।



মন্তব্য চালু নেই