৮ টি উপায়ে আকাশ ভ্রমণকে করুন ঝামেলামুক্ত, আরামদায়ক

আকাশ ভ্রমণ অনেকের কাছেই খুবই একঘেয়ে আর বিরক্তিকর। দীর্ঘসময় একইভাবে বসে থাকা, একই রকম দৃশ্য দেখতে থাকা জানালার বাইরে, সত্যিই ভাল লাগার কথা নয়। আর যদি আপনার ভ্রমণ ভাল কোন বিমানে না হয় তাহলে তো সেটি আরও খারাপ অভিজ্ঞতা যোগ করবে আপনার স্মৃতিতে। তাই আসুন জেনে নিই সহজ ৮ টি উপায়ে কিভাবে আপনার বিমান ভ্রমণটি হতে পারে নির্ঝঞ্ঝাট।

১।ভাল একটি বই

ভাল একটি বই আপানার ভ্রমণের একঘেয়েমী কমিয়ে দিতে সক্ষম শতভাগ। এতটা সময় শুধু বসে না থেকে তাই একটি বই পড়ুন। অনেক দিন ধরে পড়বেন ভাবছেন কিন্তু সময়, সুযোগের অভাবে পড়া হচ্ছে না এমন একটি চমৎকার বই ঢুকিয়ে নিন হ্যান্ড ব্যাগে। ব্যাস! পড়তে পড়তে সময় পার।

২।নিজস্ব হেডফোন
গান শোনার জন্য নিজের হেডফোনটি নিয়ে নিন সাথে। পছন্দের গানের এলবাম বেছে নিয়ে চালিয়ে দিন। কখন সময় কেটে যাবে আপনি টেরই পাবেন না। মনও থাকবে ঝরঝরে, ফুরফুরে।

৩। খাবার
বিমানের রান্নাঘরে প্রতিদিন কত যাত্রীর জন্য তৈরি হয় খাবার! এত মানুষের জন্য একত্রে খাবার প্রস্তুত করতে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই খাবারে কোন স্বাদ থাকবে না। তাই সবচেয়ে ভাল হয়, শুকনো খাবার কিনে সঙ্গে নিলে। আপনি আপনার ভ্রমণে সাথে রাখতে পারেন চকলেট, বাদাম ইত্যাদি। এয়ারপোর্ট থেকে তাজা খাবার ও কিনতে পারেন।

৪। ট্রাভেল ভেস্ট

ভ্রমণে পরিধান করুন ট্রাভেল ভেস্ট বা অন্তর্বাস। একটি আরামদায়ক ভ্রমণ অন্তর্বাস আপনার স্বাচ্ছন্দ্য অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে।এর আরও একটি সুবিধা হল, বিশেষ এই অন্তর্বাসের পকেটে সহজেই বহন করতে পারবেন হেডফোন, মোবাইল সহ যা কিছু প্রয়োজনীয়।

৫। ব্যাস্ত সময়
চেষ্টা করুন ব্যস্ত সময়ে ভ্রমণ না করতে। এমন ভাবে আপনার শিডিউল পছন্দ করুন যাতে ভীড় কম থাকে আর স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারেন।

৬। পুরোনো ট্যাগ তুলে ফেলুন
আপনার লাগেজ বা ব্যাগ থেকে পুরোনো ট্যাগগুলো খুলে ফেলুন। এতে অনেক ঝামেলা সহজে এড়াতে পারবেন। একাধিক ট্যাগ ব্যাগে লাগানো থাকলে তা কর্তব্যরত হ্যান্ডলারকে এমনকি ব্যাগ স্ক্যানারে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।

৭। ব্যবহার

এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে বিমানে দায়িত্বরত যত কর্মী রয়েছেন তাদের সবার সাথে সদ্ব্যবহার করুন। এতে ছোটখাট অনেক সাহায্য পাবেন।দীর্ঘ ভ্রমণে ঠিক মত সেবা পাওয়া জরুরী। আপনার ব্যবহার দিয়েই আপনি তা নিশ্চিত করতে পারেন।পরবর্তীতেও তারা আপনাকে মনে রাখবে।

৮। নির্দেশনা শুনুন
বিমানে ভ্রমণের শুরুতে, নামার আগে এবং মাঝে প্রয়োজন মত কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। এগুলো অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শুনুন। আপনার অনেক সমস্যা, অস্বস্তি কমে আসবে। আর আপনি যদি প্রথমবার বিমানযাত্রী হন তাহলে তো আরও গুরুত্বের সাথে নির্দেশনা শুনবেন এবং মেনে চলবেন।



মন্তব্য চালু নেই