‘৯১.৪৭ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মিলেছে’

স্বাধীনতা পরবর্তী অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছরের জুন পর্যন্ত অর্থবছরে বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে মোট ৯১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মিলেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী একথা জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ৩০ জুন ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থা মোট ৯১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার মধ্যে ৬১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং ২৯ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান। একই সময়ে ডিসবার্সমেন্ট হয়েছে ৬৪ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং ২৫ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান।’

মন্ত্রী দাতা দেশ ও সংস্থা ওয়ারী বিবরণ তুলে ধরে জানান, চীন সরকার ৯টি সুদমুক্ত ঋণের সর্বমোট ৬১২ দশমিক ৪০ মিলিয়ন আরএমবি সমপরিমাণ প্রায় ৯৯ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ মওকুফ করেছে। বাংলাদেশ সরকার ও জাপান সরকারের মধ্যে ১৯৯৮ সালের পূর্বে সম্পাদিত ঋণ চুক্তিসমূহের অধীনে আসল ও সুদ বাবদ প্রতি বছর বাংলাদেশ যে অর্থ পরিশোধ করে তা জাপান সরকার ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এর আসল ও সুদ বাবদ পরিশোধযোগ্য আনুমানিক ১৮,৭২৮ কোটি টাকার মধ্যে ডিবেট রিলিফ গ্র্যান্ট অ্যাসিসট্যান্স (ডিআরজিএ)- এর মাধ্যমে অনুদান হিসেবে প্রায় ৯,৬২৮,০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে অবশিষ্ট প্রায় ৯,১০০ কোটি টাকা জাপান ডিবেট ক্যানসেলেশন ফান্ড (জেডিসিএফ)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের সম্মত তালিকা অনুযায়ী বার্ষিক উন্নয়ন কর্র্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে।

২০১৪-২০১৫ অর্র্থবছরে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ১৮২ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ প্রায় ১,৪১৯ দশমিক ২৯ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী আরো জানান, বর্তমানে দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ১৬৯ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ১৬০টাকা।



মন্তব্য চালু নেই