‌‘হে আল্লাহ তাদেরকে বিনা হিসাবে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন’

দিনের বেলা রোজাও রেখেছেন। সারা রাত মসজিদে বা ঘরে জায়নামাজে বসে ইবাদত-বন্দেগি করছেন। দু’চোখের পানি ফেলে জন্মদাতা বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করেছেন। তারপর ফজরের নামাজ পড়ে আবার অনেকেই রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে গিয়ে পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করেছেন। এসময় অনেকেই কান্না জড়িত কন্ঠে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন।

সন্তানরা দোয়া করছেন, রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছগীরা। হে আল্লাহ, আমার পিতা-মাতাকে বিনা হিসাবে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব কর। সবাই এই দোয়া করখেন আর অশ্রু ফেলছেন।

এ যেন কবর জিয়ারত করতে আসা মানুষের মিছিল। কেউবা একা আবার অনেকেই এসেছেন পরিবারের সদস্য, এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের নিয়েও। নিজের আপনজনের করবটির পাশে বসে ও দাঁড়িয়ে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ ও মোনাজাত করতে দেখা গেছে। কবর জিয়ারতের সঙ্গে অনেকে ফুল ছিটিয়ে বা আগরবাতি জ্বালিয়েও শ্রদ্ধা জানান চিরনিদ্রায় শায়িত থাকা স্বজনদের।

আগত অনেকেই নানা স্মৃতি মনে করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। দোয়া করতে গিয়ে অনেকে অঝোরে কেঁদেছেন। চোখের পানিতে ভিজিয়েছেন কবরের মাটিও। মোনাজাত শেষে এতিম ও ভিক্ষুকদের দান করে বাড়ি ফিরেছেন তারা। তবে মানুষের ভিড়ে এমনও অনেকই ছিলেন যিনি তার আপনজনের কবরটিকে আর খুঁজে পাননি। তারপরও আসেন এই ভেবে স্বজন তো এই করবস্থানেই শুয়ে আছেন চিরনিদ্রায়।

কবর জিয়ারত করতে আসা আসমা আক্তার বললেন, যারা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে তারা তো আর কখনো ফিরে আসবে না। আমাদের মতো করে তারা কাছেও আসতে পারবে না। তাই তাদের জন্য দোয়া ছাড়া আমাদের আর কিবা করার আছে!



মন্তব্য চালু নেই